কলেজ কতৃপক্ষের গাফিলতিতে হতাশ মেধাবী পড়ুয়ার সোশাল মিডিয়ায় আত্মহত‍্যার কথা

5th February 2021 9:36 am বর্ধমান
কলেজ কতৃপক্ষের গাফিলতিতে হতাশ মেধাবী পড়ুয়ার সোশাল মিডিয়ায় আত্মহত‍্যার কথা


নিজস্ব সংবাদদাতা ( কালনা ) : কলেজ কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে মেধাবী ছাত্রের লেখাপড়া শেখার ভবিষ্যৎ।এমনিই অভিযোগ তুললেন মন্তেশ্বরের এক ছাত্র ও তার পরিবার।এই ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রটি সরব হয়।এরপরেই তাকে পুলিশ দিয়ে শায়েস্তা করার হুমকি দেবার অভিযোগ ওঠে কাটোয়ার চন্দ্রপুর কলেজের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে।ঘটনার বিহিত চেয়ে চন্দ্রপুর কলেজের বিএ দ্বিতীয়  বর্ষের ইংরাজি অনার্সের ছাত্র অরুণাভ সামন্ত প্রশাসন,বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমনকি ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে।কিন্তু ,কোন  সুরাহার ব্যবস্থা না হওয়ায় হতাশ ছাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় জানায় কোনো সুরাহা না হলে সে ’আত্মহত্যার’ পথ বেছে নিতে বাধ্য হবে’।ছাত্র অরুণাভ সামন্তর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের পিপলন পঞ্চায়েতের করন্দা গ্রামে।তাঁর বাবা অমলেন্দু সামন্ত একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।ছোট্ট একটি দোকান চালিয়ে সামান্য যেটুকু রোজগার হয় তা দিয়েই তিনি কোনরকমে সংসার চালান।সম্প্রতি অরুণাভর বাবা হৃদ রোগে আক্রান্ত হন। সেই কারণে এখন অরুণাভকেই বাবার দোকান সামলানোর পাশাপাশি পড়াশুনাও সামলাতে হচ্ছে। যদিও ছাত্র অরুণাভ সামন্তর আনা অভিযোগ  মানতে চাননি চন্দ্রপুর কলেজের প্রিন্সিপাল কার্তিক চন্দ্র সামন্ত । তিনি জানিয়েছেন ,“ অরুণাভ সামন্ত নির্দিষ্ট দিন অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ করেনি বলে কলেজের স্টাফের কাছ থেকে তিনি জেনেছেন তবে ফর্ম ফিলাপের জন্য ধার্য টাকা যে ছাত্রটি জমা দিয়েছিল তা প্রিন্সিপাল এদিন স্বীকার করে  নিয়েছেন।প্রিন্সিপাল আরো জানান ,২৫ নভেম্বর অরুণাভ কলেজে এসে তাঁকে  জানায় তাঁর অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ হয়নি।  প্রিন্সিপাল এও বলেন , টেকনিক্যাল ফল্টের কারণেও উদ্ভুত সমস্যা তৈরি হয়ে থাকতে পারে । তবে ছাত্রের ভবিষ্যৎতের কথা ভেবে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে  কথা বলেছেন।পুলিশকে দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকির অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রিন্সিপাল বলেন,’আত্মহত্যা’ করতে হবে বলে ছাত্র অরুণাভ যে  বক্তব্য লিখেছে তার প্রতিবাদ তিনি করেছেন।কারণ প্রকাশ্যে কেউ ’আত্মহত্যার’  হুমকি দিতে পারেনা ।  এটা বেআইনি। ” ছাত্র অরুণাভর বাবা অমলেন্দু সামন্ত ও সহপাঠীরা অবশ্য দাবি করেছেন প্রিন্সিপাল গাফিলতির দায় এড়াতে  দ্বিচারীতা কথাবার্তা বলছেন।  ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।